সৌদি আরবের শ্রম-নীতিমালার একটি বিস্তারিত চিত্র এখানে খুঁজে পাবেন। সৌদি আরবগামী অভিবাসীদের জন্য এই নীতিমালা এবং অন্যান্য সূত্র থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো:

  • সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া সেখানে না যাওয়া।
  • সৌদি আরবের স্থানীয় কফিল (মালিক) বা কোন আন্তর্জাতিক কোম্পানির স্পন্সর ছাড়া সেখানে না যাওয়া।
  • বৈধ কাজের অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) এবং আবাসিক কার্ড (ইকামা) ছাড়া সৌদি আরবে না যাওয়া।
  • সৌদি আরবে যাবার পূর্বে সেখানের কোনো এজেন্সিকে নিয়োগ ফি না দেওয়া।
  • নারী শ্রমিকগণ কিছু নির্দিষ্ট চাকরি ছাড়া অন্য কাজ করতে না পারা।
  • সৌদি আরবে যাবার পূর্বে অবশ্যই চাকরির চুক্তিপত্র বুঝে নিতে হবে। যেখানে একজন শ্রমিক সৌদি আরবের শ্রম আইন অনুযায়ী কি কি সুবিধা পাবে এবং চুক্তির মেয়াদ কত দিন হবে তা উল্লেখ  থাকবে।
  • সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কোনভাবেই ৬০ ঘণ্টার বেশি হবে না (ওভারটাইমসহ)। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে।
  • শুক্রবার সকল শ্রমিকের জন্য ছুটির দিন।
  • সৌদি আরবে কোন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত নেই।

পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিসা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ, কাজের অনুমতি এবং আবাসিক (রেসিডেন্স) ভিসা ইত্যাদি বিষয় দেখভাল করে থাকে।

মাঝারি ও স্বল্প দক্ষ শ্রমিকদের জন্য ইংরেজি ভাষায় খুব কম সংখ্যক তথ্য রয়েছে। সৌদি আরবে অবস্থানরত পাকিস্তানি অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আইএলও কর্তৃক প্রকাশিত একটি গাইডলাইন রয়েছে। এবং ভারতের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ভারতীয় কনস্যুলেট কর্তৃক প্রকাশিত একটি গাইড রয়েছে। এই গাইডগুলোতে মাঝারি ও স্বল্প দক্ষ শ্রমিকদের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার পূর্বে ও সৌদি আরবে যাওয়ার পরের ধাপের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এই তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনকানুন, সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ, ঝুঁকি নিরসনের কৌশল, যোগাযোগের ঠিকানা (কোনো বিপদে পড়লে) ইত্যাদি।

অনুরূপভাবে, ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য রয়েছে গাইডলাইন। এছাড়াও কাফালা পদ্ধতির উপর গাইড রয়েছে যা থেকে  ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকগণ সৌদি আরব সম্পর্কিত সাধারণ তথ্যাবলী এবং কিভাবে অবৈধ এজেন্সি ও নিয়োগকারী চিনবে সে সম্পর্কে পরামর্শ পাবে।