নিচের তথ্য থেকে বর্তমানে যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিসমূহ সৌদি আরব সরকার স্বাক্ষর করেছে তার একটি চিত্র পাওয়া যায়।

ফিলিপাইন, ২০১৩: এটি গৃহকর্মী নিয়োগ বিষয়ক একটি চুক্তি। কিভাবে সৌদি আরবের কফিলদের (মালিক) ও একই সাথে ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা করা হবে তা এই চুক্তিতে বলা হয়েছে। এই চুক্তিতে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট আইন, নিয়ম-নীতি অনুযায়ী ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ, বেতন ও থাকার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ভারত, ২০১৪: এটি গৃহকর্মে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত শ্রম-সহযোগিতা সম্পর্কিত একটি চুক্তি। এটি মূলত গৃহকর্মীর অভাব দূর করার জন্য করা হয়। এই চুক্তির মধ্যে নিয়োগ ফি, কোন নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করলে তার শাস্তি, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের প্রতারণা থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো বলা হয়েছে। এখানে ন্যূনতম বেতন, কর্মঘণ্টা, ছুটি, এবং কোন বিষয়ে বিরোধ হলে সমাধানের উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও বর্ণনা করা হয়েছে। 

ইন্দোনেশিয়া, ২০১৪: এটি ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মীদের নিয়োগ ও সুরক্ষা বিষয়ক একটি চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মীদের নিয়োগ ও সুরক্ষা বিষয়ক কৌশল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই চুক্তি দ্বারা সৌদি আরবের কফিলদের (মালিক) ও একই সাথে ইন্দেনেশিয়ার অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের একটি আদর্শ চুক্তিপত্র (স্ট্যান্ডার্ড এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্রাক্ট) তৈরী করা হয়েছে।

শ্রীলংকা: এটি গৃহকর্মী নিয়োগ বিষয়ক দ্বি-পাক্ষিক একটি চুক্তি।

ভিয়েতনাম, নেপাল, নাইজার, জিবুতি, বাংলাদেশ এবং চাদ ২০১৬: এটি গৃহকর্মী নিয়োগ বিষয়ক দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি।