যদিও আইন অনুযায়ী, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি গুলো লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে থাকে, তবুও প্রচুর সংখ্যক প্রতারণা ও শোষণমূলক ঘটনা বিদ্যমান। রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক নিয়োগের প্রবণতা বন্ধ না হওয়ায় ১৯৯৫ সাল থেকে শ্রমিক নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা আবারও প্রত্যাহার করা হয়েছিলো। ২০০৫ সালের একটি নীতিমালার পর থেকে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই নীতিমালা অনুযায়ী, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি ৫০ জন অভিবাসী শ্রমিকের নিচে নিয়োগ করতে হলে সরাসরি উৎস দেশগুলো থেকে নিয়োগ করতে পারবে বা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিতে পারবে। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করার জন্য এই সিস্টেম তৈরি হলেও এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং অতিরিক্ত ফি-সংক্রান্ত শোষণের ঘটনা ঘটে। এতে করে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স ইস্যু এবং কাজ করার অনুমতি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ থেকে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় বন্ধ রয়েছে।

মালয়েশিয়ার ১১তম পরিকল্পনা নীতিমালা অনুযায়ী, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এখন থেকে অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বশীল। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ও মধ্যস্বত্ত্বভোগী প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যা-ই হোক, ২০২১ সাল পর্যন্ত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স বিদ্যমান রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বাসস্থান সুবিধা, স্থায়ী কর্মসংস্থান, চলাচলের স্বাধীনতা এবং ন্যূনতম মজুরি প্রদান করে না।

বীমা ও স্বাস্থ্য সেবা হলো অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বড় সমস্যা। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে সকল বিদেশি শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসা বীমা ও সার্জিক্যাল স্কীম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বীমার কিস্তি নিয়োগদাতা বা শ্রমিকদের পরিশোধ করতে হয়। গৃহকর্মীরা অনেক ধরনের শ্রম সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে। যেমন- দৈনিক কর্মঘণ্টা, ছুটির দিন, সরকারি ছুটির দিন, বার্ষিক ছুটি, অসুস্থতাজনিত ছুটি, ন্যূনতম মজুরি নীতিমালা বা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ইত্যাদি। সাম্প্রতিক শ্রম সংস্কারের ফলে অভিবাসী শ্রমিকদের উপার্জন বৃদ্ধি পাওয়া উচিত যেহেতু চাকরিদাতা শ্রমিকদের বেতন থেকে লেভি (কর/ খাজনা) কাটতে পারবে না।

এই দেশের শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে জানতে এখানে আইটিইউসি গ্লোবাল রাইটস ইনডেক্স ভিত্তিক তথ্য দেখুন।