শ্রমিকদের গল্প এবং অধিকার লঙ্ঘন

মিথ্যা অঙ্গীকার এবং মিথ্যা প্রতিশ্রæতি - অভিবাসী কর্মীদের যাত্রা
আমাদের গ্রামের একটি নিয়োগদানকারী সংস্থার প্রতিনিধির কাছ থেকে বিদেশে মাসিক ৪০০ ডলার বেতনের একটি ভালো চাকরির কথা জানতে পারি। সে বলেছিলো সপ্তাহে ৬ দিন ও দৈনিক ৮ ঘন্টা করে একটি কাগজের কারখনাতে কাজ করতে হবে । এজেন্ট আমাদের বলেছিলো নিয়োগ বাবদ কোনো খরচ দেওয়া লাগবে না, যেহেতু পরবর্তীতে বেতন থেকে এ বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হবে।
দেশ ছাড়ার এক সপ্তাহ আগে আমরা আমাদের রাজধানী শহরে প্রাক-বর্হিগমন প্রশিক্ষণের জন্য যাই। আমরা আমাদের এজেন্টের কাছে চুক্তিপত্র চাইলে সে বলে এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই , চুক্তিপত্রটি যাওয়ার আগে দেওয়া হবে।
যাওয়ার দিন বিমানবন্দরে আমাদেরকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য বলে। এজেন্ট আমাদেরকে যেভাবে বলেছিলো চুক্তিপত্রটিতে সেভাবে লেখা ছিলো না। চুক্তিপত্রটিতে বেতন উল্লেখ ছিলো মাত্র ২০০ ডলার । তারা আমাদেরকে একটি রসিদ প্রদান করেছিলো যেখানে আমাদের নিয়োগদানকারী সংস্থাকে নিয়োগ খরচ বাবদ আরও ১০০ ডলার দিতে হবে।
আমাদের অবস্থাটা চিন্তা করুন । কিন্তু তখন আমাদের আর করার কিছুই ছিলো না কারণ তখন আমরা বিমানবন্দরে ও বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের পরিবারের অনেক আশা ছিলো যে এই চাকরির মাধ্যমে আমরা তাদের কিছু সহায়তা করতে পারবো।
একটা লম্বা ভ্রমণ শেষে আমরা যখন আমাদের নতুন কর্মস্থলে পৌঁছালাম, আমাদেরকে একটি নতুন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য বলা হলো । সে সাথে এটিও বলা হলো যে নতুন চুক্তিপত্রটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এই চুক্তিপত্রে লেখা ছিলো যে আমরা একটা পাইপ তৈরির কারখানায় মাসিক ২০০ ডলার বেতনে কাজ করবো । আমাদের এই চুক্তিপত্রের কোনো কপি দেওয়া হয়নি এবং নিয়োগকর্তা আমাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেয়।
পাইপ তৈরির কারখানায় কাজ করা খুবই পরিশ্রমের যা আমাদের সহ্যশক্তির বাইরে। দিনে ১০-১২ ঘন্টা ওভারটাইম ছাড়া কাজ করতে হয়। প্রথম ছয় মাসের বেতন নিয়োগ ফি বাবদ নিয়োগদানকারী সংস্থা কেড়ে নেয়।
সাত মাস পর আমরা প্রথম বেতনের চেক পাই। কিন্তু তা ছিল মাত্র ১০০ ডলারের। নিয়োগকর্তাকে প্রশ্ন করলাম কেন আমাদেরকে চুক্তির অর্ধেক বেতন দেওয়া হলো। তখন তারা বলল যে আমাদের খাবার ও বাসস্থান বাবদ বাকী টাকা কাটা হয়েছে।
আমরা ছিলাম অসহায়- আমরা কাজ পরিবর্তন করতে চাইলে তারা আমাদের ভয় দেখায় আর কাজে না আসলে আমাদের বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
অবশেষে আমরা আমাদের পরিবারকে কোনো অভিবাসী সংগঠনের সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে বলি। প্রতিষ্ঠানটির সহায়তায় আমরা শ্রম মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এবং তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের চুক্তি অনুযায়ী বেতন পাই।

 

Migrant workers reporting their case to migrant rights organisation to seek foe help
Migrant workers filed their complaint about their recruitment process to a local union.

যদি আমি রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর সম্পর্কে আগে জানতাম তাহলে আমি নিয়োগদানকারী সংস্থা ও নিয়োগকর্তা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে তথ্য জানতে পারতাম এবং তারা কর্মীদের সাথে কিরূপ আচরণ করে তাও জানতে পারতাম।
অন্য কর্মীদের যেন এমন কিছু সহ্য করা না লাগে যা আমি করেছি।
অভিবাসী রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর থেকে নিজের অধিকার সম্পর্কে আরও তথ্য জানুন।
মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়া নামক একটি সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে এই কেসটি "হামশাতে" নিবন্ধন করা হয়। হামশা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আভিবাসী কর্মীগণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা নিবন্ধন করতে পারে। আভিবাসী কর্মীদের দায়েরকৃত অভিযোগটি মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়ার কোনো সদস্য বা কোনো শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে রেফার করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মীর সুরক্ষার জন্য তার নাম ঠিকানা পরিবর্তন করা হয় কিন্তু তথ্য অপরিবর্তিত থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন এবং মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়া সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে। যারা পূর্বে গেছে তাদের এই অভিজ্ঞতা ও ঘটনাগুলো থেকে এখন যারা দেশের বাইরে কাজ করতে চায় তারা শিক্ষা নিতে পারবে ।
রিক্রুটমেন্ট এডভাইসরে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন
আপনার নিয়োগদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিকে মূল্যায়ণ করুন
আপনার অধিকার সম্পর্কে জানুন
কোথা থেকে সাহায্য পাবেন তা খুজেঁ বের করুন

 

 

 

 

বিনা খাবারে বন্দি
আমার মত ভুল করবেন না- রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর থেকে আপনার নিয়োগদানকারী সংস্থা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন।
আমি আমার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য দেশের বাইরে কাজ করতে চেয়েছিলাম।
আমি যেখানে বসবাস করি সেখানে চাকরীর সুযোগ খুব কম। আমার গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের আত্মীয়স্বজন বিদেশে কাজ করে এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করে।
আমার এক প্রতিবেশি আমাকে বিদেশে ৩০০ ডলার মাসিক বেতনে মালী হিসেবে কাজ করার কথা বলে। আমাকে বলা হয় কাজটা খুব কঠিন না এবং সব খরচের পরও আমি অনেক অর্থ দেশে পাঠাতে পারবো।
এই চাকরীটার জন্য নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে (এজেন্ট) ৬০০ ডলার প্রদান করি ।
আমি আমার যাওয়ার এক মাস পূর্বে চুক্তিপত্র ও ওয়ার্ক পারমিট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তাকে আরও জিজ্ঞেস করি করোনা ভাইারাস আমার চাকরির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা। করোনা ভাইারাস সম্পর্কে আমি খবরে জানতে পারি। এজেন্ট বলে যে, আমি যে দেশে যাব সেখানে করোনা ভাইারাস নেই এবং তোমার যাওয়ার পূর্বেই তোমাকে চুক্তিপত্র দেওয়া হবে।
আমার যাওয়ার দিন আমাকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বলা হয় যেখানে ২০০ ডলার মাসিক বেতনের কথা উল্লেখ ছিল।
আমি এই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে চাইনি কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম আমি এজেন্টকে ৬০০ ডলার ইতোমধ্যে প্রদান করে ফেলেছি। নিয়োগ ফি বাবদ রসিদ চাইলে এজেন্ট আমাকে মাত্র ১০০ ডলারের রসিদ দেয়। উল্লেখ্য যে, আমাদের দেশের নিয়োগ ফি বাবদ সর্বোচ্চ ১০০ ডলার ধার্য্য রয়েছে।
আমি যখন গন্তব্যদেশে পৌঁছাই, সেখানে এক নতুন নিয়োগদানকারী এজেন্টের সাথে সাক্ষাত হয় এবং সে আমাকে একটি নতুন চক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বলে। স্বাক্ষরকৃত চুক্তিপত্রের কোনো কপি আমাকে দেয়নি এবং আমার পাসপোর্টও ছিনিয়ে নেয়।
আমি যখন কর্মস্থলে যাই তখন জানতে পারি যে এটা নিমার্ণ শ্রমিকের কাজ, মালীর কাজ না। আমাকে বিনা বেতনে এক মাস দিনে ১২ ঘন্টারও বেশি কাজ করতে হয়েছিল।
আমার থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিলো না, নিমার্ণাধীন স্থানের পাশেই অন্য ১৫ জনের সাথে এক ঘরে থাকতে হত।
দুই মাস পর জানতে পারলাম যে করোনা ভাইারাস সংক্রমণ বন্ধের জন্য সরকার কোয়ারেন্টাইন জারী হয়েছে এবং এর ফলে নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
আমাদের তিন সপ্তাহের জন্য বাইরে বের হওয়া নিষেধ ছিলো, কিন্তু আমরা বের হতে চাচ্ছিলাম কারণ সেই প্রতিষ্ঠান আমাদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো।
কোয়ারেন্টাইন না মানলে পুলিশ আমাদের শাস্তি দিবে তাই আমরা বের হয়ে খাবার আনতে পারছিলাম না।
আমরা আমাদের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে সাহায্য চাই।

 

Migrant workers from different origin countries about to return home after seeking help for repatriation
Migrant workers from different origin countries were waiting for the repatriation process
 
যদি আমি রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর সম্পর্কে আগে জানতাম তাহলে আমি নিয়োগদানকারী সংস্থা ও নিয়োগকর্তা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে তথ্য জানতে পারতাম এবং তারা কর্মীদের সাথে কিরূপ আচরণ করে তাও জানতে পারতাম।
অন্য কর্মীদের যেন এমন কিছু সহ্য করা না লাগে যা আমি করেছি।
অভিবাসী রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর থেকে নিজের অধিকার সম্পর্কে আরও তথ্য জানুন।
মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়া নামক একটি সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে এই কেসটি "হামশাতে" নিবন্ধন করা হয়। হামশা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আভিবাসী কর্মীগণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা নিবন্ধন করতে পারে। আভিবাসী কর্মীদের দায়েরকৃত অভিযোগটি মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়ার কোনো সদস্য বা কোনো শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে রেফার করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মীর সুরক্ষার জন্য তার নাম ঠিকানা পরিবর্তন করা হয় কিন্তু তথ্য অপরিবর্তিত থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন এবং মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়া সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে। যারা পূর্বে গেছে তাদের এই অভিজ্ঞতা ও ঘটনাগুলো থেকে এখন যারা দেশের বাইরে কাজ করতে চায় তারা শিক্ষা নিতে পারবে ।
রিক্রুটমেন্ট এডভাইসরে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন
আপনার নিয়োগদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিকে মূল্যায়ণ করুন
আপনার অধিকার সম্পর্কে জানুন
কোথা থেকে সাহায্য পাবেন তা খুজেঁ বের করুন

 

 

 

 

নি:সঙ্গ, ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত
আমার মত ভুল করবেন না- রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর থেকে আপনার নিয়োগদানকারী সংস্থা সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন।
আমার স্বামী অন্ধ, আমিই পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি। দেশে আমার উপার্জন খুব বেশি ছিলো না যাতে করে আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করতে পারতাম।
আমি একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলাম এবং সপ্তাহে তিনদিন দুইটি বাড়িতে কাজ করতাম। সপ্তাহে তিনবার করে দুইটি পরিবারের কাপড় পরিষ্কার করে দিতাম। আমি দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতাম কিন্তু আমার পরিবারের আরও বেশি প্রয়োজন ছিলো।
তারপর আমার এক প্রতিবেশির কাছে থেকে জানলাম যে আমাদের গ্রামে এক মধ্যস্বত্ত¡ভোগী আছে যে আমাদের মত মানুষকে বিদেশে কাজ খুঁজে দেয়।
সেই মধ্যস্বত্ত¡ভোগী আমাকে একটা কাজের কথা বলে যেখানে মাসিক বেতন ৩০০ ডলার। এটা আমার জন্য যথেষ্ট এবং আমি এখান থেকে টাকা পাঠাতে পারব। কিন্তু নিয়োগ খরচ বাবদ আমাকে ৭৫০ ডলার প্রদান করতে হবে। মধ্যস্বত্ত¡ভোগী আমাকে বলেছিলো এটা আমার ভিসা, বিমান ভাড়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য খরচ হবে।
এই টাকা সংগ্রহের জন্য আমি আমাদের বাড়ির ছোট খামারটি বন্ধক রাখি।
আমি টাকা জমা দিলাম এবং আমাকে বলা হলো আমি তিন মাসের মধ্যে যেতে পারব। আমি পাসপোর্ট পেলাম ও আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলো, কিন্তু যাওয়ার আগে আমাকে কোনো প্রশিক্ষণ বা প্রাক-বর্হিগমন ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হয়নি।
বিদেশ যওয়ার দুই দিন আগে, আমি রাজধানী শহরে আসি এবং নিয়োগদানকারী সংস্থার (রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি) অফিসে অবস্থান করি। সেখানে তারা আমাকে একটা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য বলে। আমি চুক্তিপত্রটি বুঝতে পারিনি কারণ এটি অন্য ভাষায় লেখা ।
আমি অন্য আরও ১০ জন নারীকর্মীর সাথে যাত্রা শুরু করি (যারা সবাই গৃহকর্মী)। সেই দেশে পৌঁছানো মাত্র আমাদের সরাসরি যে বাসায় কাজ করব সে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো প্রশিক্ষণ বা ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হয়নি।
আমি যে কাজগুলো করতাম সেগুলো করার ফলে খুব ক্লান্ত হয়ে যেতাম। আমি প্রতিদিন তিনটি ভিন্ন বাড়িতে প্রায় পনের ঘন্টা কাজ করতাম; রান্না করা, কাপড় পরিষ্কার করা ইত্যাদি। আমি কখনো ছুটি পেতাম না এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারতাম না ।
এভাবে তিন মাস কেটে গেল এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে লাগল, এমনকি আমাকে বেতনও দেয়নি। চতুর্থ মাসে আমি নিয়োগদাতাকে বললাম তিনটি বাসায় কাজ করা আমার জন্য খুব কঠিন আমাকে অন্য বাসায় কাজ দিন।
তখন থেকেই শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। আমাকে নতুন বাসায় দেওয়া হয় এবং সেই মালিক আমাকে শারীরিক নির্যাতন করত এবং খাবারও খুব কম দিত। কিন্তু তখনও আমাকে কোনো ছুটি ছাড়া দীর্ঘ সময় কাজ করতে হত।
পাঁচ মাস পর অবশেষে আমি বেতন পেলাম। কিন্তু আমি খুব হতাশ হলাম। আমাকে মাত্র ১৫০ ডলার দেওয়া হয়েছিলো। আমার নিয়োগকর্তা আমাকে জানায় যে এটাই আমার নিয়োগদানকারী সংস্থার (রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি) সাথে চুক্তি ছিলো ।
দশমাস পর আমি বাধ্য হয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি যারা অভিবাসী শ্রমিকদের সাহায্য করে। আমি নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছিলাম না। আমি অনেক শুকিয়ে গিয়েছিলাম । আমার হাত ও পিঠে বিভিন্ন ক্ষত চিহ্ন দেখা দিয়েছিলো।
 
যদি আমি রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর সম্পর্কে আগে জানতাম তাহলে আমি নিয়োগদানকারী সংস্থা ও নিয়োগকর্তা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে তথ্য জানতে পারতাম এবং তারা কর্মীদের সাথে কিরূপ আচরণ করে তাও জানতে পারতাম।
অন্য কর্মীদের যেন এমন কিছু সহ্য করা না লাগে যা আমি করেছি।
অভিবাসী রিক্রুটমেন্ট এডভাইসর থেকে নিজের অধিকার সম্পর্কে আরও তথ্য জানুন।
মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়া নামক একটি সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে এই কেসটি "হামশাতে" নিবন্ধন করা হয়। হামশা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আভিবাসী কর্মীগণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা নিবন্ধন করতে পারে। আভিবাসী কর্মীদের দায়েরকৃত অভিযোগটি মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়ার কোনো সদস্য বা কোনো শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে রেফার করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মীর সুরক্ষার জন্য তার নাম ঠিকানা পরিবর্তন করা হয় কিন্তু তথ্য অপরিবর্তিত থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন এবং মাইগ্রেন্ট ফোরাম ইন এশিয়া সম্মিলিতভাবে সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে। যারা পূর্বে গেছে তাদের এই অভিজ্ঞতা ও ঘটনাগুলো থেকে এখন যারা দেশের বাইরে কাজ করতে চায় তারা শিক্ষা নিতে পারবে ।
রিক্রুটমেন্ট এডভাইসরে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন
আপনার নিয়োগদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিকে মূল্যায়ণ করুন
আপনার অধিকার সম্পর্কে জানুন
কোথা থেকে সাহায্য পাবেন তা খুজেঁ বের করুন
Woman migrant domestic worker filling in a complaint form
Migrant domestic worked filed a complaint to a local organisation about her recruitment agency and employer.

Migrant Forum in Asia (MFA)

Conceived in 1990 in a meeting of migrant workers’ advocates in Hong Kong, MFA was formally organized in 1994 in a forum held in Taiwan entitled, “Living and Working Together with Migrants in Asia”.

MFA is a regional network of non-government organizations (NGOs), associations and trade unions of migrant workers, and individual advocates in Asia who are committed to protect and promote the rights and welfare of migrant workers.

http://mfasia.org

International Trade Union Confederation (ITUC)

The International Trade Union Confederation (ITUC) is the global voice of the world’s working people.

The ITUC’s primary mission is the promotion and defence of workers’ rights and interests, through international cooperation between trade unions, global campaigning and advocacy within the major global institutions.

https://www.ituc-csi.org